ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসে আসামে ধর্মপ্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ১৭জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
রবিবার আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ভাস্করজ্যোতি মহন্ত বলেছেন, অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসে ধর্মের প্রচার করেন প্রচারকরা। অনেকে আবার মৌলবাদেরও প্রচার করেন। এ ধরনের অনেক প্রচারকের আসামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার আসামের বিশ্বনাথ জেলা থেকে বাঘমারি এলাকা থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিসার শর্ত ভাঙার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে আটজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। বাকিরা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন।
বাংলাদেশে থেকে এসে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর ওই ১৭ জন কোচবিহার থেকে বাসে করে বিশ্বনাথ জেলায় পৌঁছান। গত শুক্রবার বাঘমারি এলাকায় একটি ধর্মীয় সভার আয়োজন করেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে সক্রিয় হয় পুলিশ। সরেজমিনে তদন্তে নেমে জানতে পারে, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এলেও ওই ১৭ জন বাঘমারিতে বেড়ানোর জন্য আসেননি।
ডিজিপি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি একবারো বলছি না যে গ্রেফতারকৃতরা মৌলবাদের প্রচার করছিলেন। কিন্তু তারা ধর্ম প্রচার করছিলেন, যা ট্যুরিস্ট ভিসার শর্তের বিরোধী। এই মুহূর্তে তাদের ভিসার শর্ত ভাঙার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য কোনও কারণে নয়।’
তিনি জানান, এই বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে।
ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি আরো বলেন, ‘নিম্ন আসাম এবং বরাক উপত্যকায় একটা প্রবণতা দেখা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে সেখানে মৌলবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর ওই মৌলবাদিরা ট্যুরিস্ট ভিসায় এ দেশে এসে ধর্ম প্রচার করেন। কেউ কেউ মৌলবাদের প্রচার করেন।’
তবে এই ১৭ জনের ক্ষেত্রে এখনই মৌলবাদ প্রচারের অভিযোগ আনা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
পাঠকের মতামত